দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) দেশের ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩১০ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধির অংশগ্রহণে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১-এ উক্ত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার আয়োজনে এই সম্মেলন চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ১৮৫৫ সালের ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনাম উল্যা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনাম উল্যা বলেন, অ্যাকাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি এ ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে। তোমাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য এ ধরনের প্রোগ্রাম অনেক হেল্পফুল হবে। বিশেষ করে পড়াশোনা শেষে চাকরিজীবনে তোমরা এর সুফল পাবে। তোমাদের অনেকের অ্যাকাডেমিক ফলাফল ভালো কিন্তু একটা জবের জন্য যে স্কিল প্রয়োজন সেটা হয়তো তোমার নেই। সেক্ষেত্রে এ ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজগুলো কাজে আসবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, তোমরাই সেই জেনারেশন, যারা গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছো। দেশটা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছিল, তোমরা সেটাকে সঠিক পথে নিয়ে এসেছো। নিজের জীবনের কথা না ভেবে তোমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও দেশের সার্বভৌমত্বের কথা ভেবেছো, এজন্য আমরা তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো.শফিকুল ইসলাম সিকদার, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এস এম এমদাদুল হাসানসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।