কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও দুর্নীতির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শহর। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রত্যাশী ও স্থানীয় জনতা অফিসের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা স্লোগান দিয়ে দাবি করেন, শুক্রবার অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দ্রুত পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে।
জানা গেছে, ১১৫টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রায় ১৬ হাজার ৭৮৯ জন আবেদনকারী থাকলেও অংশ নেয় অর্ধেকের কিছু বেশি। পরীক্ষার আগের রাতেই কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়িতে ২৫-৩০ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশ ও ভোরে বেরিয়ে যাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে প্রশ্নফাঁসের গুঞ্জন শুরু হয়। পরে জানা যায়, বাড়িটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হোসেন ইমামের।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেই যদি ফলাফল ঘোষণা করা হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব। আজই যদি পরীক্ষা বাতিল না হয়, কাল কুষ্টিয়া অচল করে দেওয়া হবে।”
এদিকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বিষয়টি তদন্তের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী ও নিরাপত্তা বজায় রেখেই পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে, তবে ভিডিওটি জনমনে ভুল ধারণা তৈরি করেছে।
অন্যদিকে, ডা. হোসেন ইমাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ঘটনার সময় আমি কিছুই জানতাম না। বাড়িতে আমার পরিবারের সদস্য ও অন্য মেসে থাকা পরীক্ষার্থীরাও ছিলেন। তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছিল, কিন্তু কেন পালিয়েছে, তা আমার জানা নেই।”
সিভিল সার্জন ডা. কামাল হোসেন আরও জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে তারা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ তাদের উপর নির্ভর করছে।

