নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. রফিকুল ইসলাম মণ্ডলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলাটির অনুমোদন দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।
২০১৩ সালে বারিতে বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে ২০টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল এবং কোটা বিবেচনায় বাছাই কমিটি ১৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। সেই অনুযায়ী বারি ওই ১৮ জনকে নিয়োগও দেয়।
কিন্তু পরবর্তীতে দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই ১৮ জন ছাড়াও অতিরিক্ত ৪২ জনকে অবৈধভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ২৫ জন লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য, ১৪ জন সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হননি, আর তিনজন তো চাকরির জন্য আবেদনই করেননি। অর্থাৎ মোট ৪২ জন প্রার্থীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে বলে দুদক মনে করে।
দুদকের তদন্তে জানা যায়, বারির তৎকালীন উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং তৎকালীন মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল পরস্পর যোগসাজশে এই অবৈধ নিয়োগ কার্য সম্পাদন করেন। সবকিছু পর্যালোচনা করে দুদক এজাহার দাখিলের অনুমোদন দেয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মহাপরিচালক ও উপপরিচালকের পাশাপাশি ৪২ জন নিয়োগপ্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক সহকারী, যারা বর্তমানে বারির বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্র ও ইনস্টিটিউটে কর্মরত আছেন।
